প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন ষড়যন্ত্রও চলছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নানাধরনের বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সাংবাদিক শাবান মাহমুদ রচিত ‘শেখ হাসিনার জীবন কথা’ গ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রতিপক্ষ, দেশের প্রতিপক্ষ তাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সেজন্যই মধ্যপ্রাচ্যেও গোপন বৈঠক হয়। সেখানে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকে।
সেজন্যই ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নানাধরনের বৈঠক হয়, ষড়যন্ত্র হয়। দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধাবমান গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আবারও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের এই অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পুরো জীবনটা সংগ্রামের। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে এই সংগ্রাম শুরু হয়েছে, তা নয়। অনেক দুঃখ আর বেদনা নিয়ে সংগ্রামের একটি জীবন হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন। আজও তিনি সংগ্রামের মধ্যে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কোনো ব্যক্তিগত জীবন নেই, সারাক্ষণ দেশ-দল এগুলো নিয়ে ভাবতে হয়, কাজ করতে হয়। সারাক্ষণ নানা সমস্যার সামাল দিতে হয়, এখনও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। আমরা গত নির্বাচনে যে স্লোগান দিয়েছিলাম, ‘আমরা গ্রাম, আমার শহর’- এখন গ্রামে শহরের অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। গ্রামে এখন কুঁড়েঘর নেই, বাংলাদেশে এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। এটিই বাস্তবতা। আকাশ থেকে ঢাকা শহর চেনা যায় না, চট্টগ্রাম শহর চেনা যায় না।
হাছান মাহমুদ বলেন, ১০ বছর আগে যে বিদেশে গেছে, সে এসে দেশ চিনতে পারে না। শহর চিনতে পারে না, গ্রাম চিনতে পারে না। এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, এখানেই শেখ হাসিনার সাফল্য।
শেখ হাসিনাকে উনিশবার হত্যার অপচেষ্টা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজও শেখ হাসিনাকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এগুলো সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ।