চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরবাসীর কর দিয়েই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতাসহ নানা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যারা কর দিচ্ছেন তারা সম্মানিত সজ্জন। কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো জবরদস্তি করার নিয়ম নেই। আমি বিশ্বাস করি সাধারণ নাগরিকরা কর দিতে আগ্রহী, কিন্তু অতিরিক্ত সুবিধাভোগীরা কর দিতে চান না এবং কর ফাঁকির জন্য ফন্দি-ফিকির করেন।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ২২ মহল্লা সর্দার কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ সর্দ্দারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আইনানুগভাবেই কর আরোপ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত করের বোঝা বাড়াতে চাই না। মূল উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। তবে যৌক্তিক কর ছাড়াতো সিটি করপোরেশন চলতে পারে না। কারণ কর ছাড়া চসিকের আয়ের বড় কোনো উৎস নেই। এ প্রসঙ্গে বলেন, পূর্ব ঘোষণাকৃত ১২ অক্টোবরের মধ্যে কর পরিশোধ করা হলে সারচার্জ মওকুফ করা হবে। তিনি এই সুযোগটি গ্রহণ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
কর আদায়কালে রাজস্ব বিভাগের কেউ যেন কোনোভাবে খারাপ আচরণ না করেন সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২ মহল্লা সর্দার কমিটির সভাপতি বলেন, সাধারণ জনগণ কর দিতে কখনো তালবাহানা করেন না। যারা একই হোল্ডিং-এ বহুমাত্রিক সুবিধা ভোগ করেন তারাই কর দিতে চায় না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল পদপ্রার্থী আব্দুস সালাম মাসুম, রাজনীতিবিদ মো. ইলিয়াস, সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুদ্দীন আহমেদ, শওকত ওসমান মুন্না, এনামুল হক মিলন, নাছির উদ্দিন ও রফিকুল মান্নান জুয়েল।
পরে চসিক প্রশাসক সুজন বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বাজার কমিটিকে বাজারের পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ সুরক্ষার নির্দেশ দেন। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সুসম্পর্কের উপরও তিনি গুরুত্ব দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বহদ্দারহাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী মো. জানে আলম, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. বদিউল আলম, দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তসকির আহমদসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা।