বাঁশখালীতে শাহ আলম (৩৫) নামে এক পানের দোকানদারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বাঁশখালী পৌরসভা এলাকার নিজ বাড়ির পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
শাহ আলমের মা আয়শা ছিদ্দিকা বলেন, রোববার রাত ৯টার দিকে ৪ জন অপরিচিত মানুষসহ শাহ আলমের স্ত্রী তাজমিন আক্তার ও শাশুড়ি জুলিয়ারা বেগম ২টি সিএনজি অটোরিক্সাযোগে তার বাড়িতে আসেন। আমার ছেলের খবর জানতে চাইলে তারা কিছু জানে না বলে জানায়। রাত ১২টার দিকে ওই অপরিচিত ৪ জন পুরুষ ফিরে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি আমার ছেলের লাশ বাড়ির পিছনে পুকুর পাড়ে একটি গাছে ঝোলানো।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, শাহ আলমের ছেলে তানিম (৭) আমাকে জানিয়েছে, তার বাবাকে মামার বাড়িতে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া শাহ আলমের পুরো শরীরে অনেক মারধরের দাগ আছে। অথচ শাহ আলমের স্ত্রী তাজমিন আক্তার ও শাশুড়ি জুলিয়ারা বেগম প্রচার করছে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। তিনি শাহ আলমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
বাঁশখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জমশেদ বলেন, গ্রামের মানুষের কাছে জানতে পেরেছি রাতে ২টি সিএনজি অটোরিক্সা কয়েকবার আসা যাওয়া করেছে। ছোট রাস্তা দিয়ে অটোরিক্সার কয়েক দফা আসা যাওয়ায় মানুষের ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল। লাশের ঝুলে থাকার ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে শাহ আলমকে খুন করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত নয়। শাহ আলমের স্ত্রী তাজমিন আক্তার ও শাশুড়ি জুলিয়ারা বেগমকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জয়নিউজ/জুলফিকার