চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন মিত্রের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা চেয়ে ওই শিক্ষকের কাছে পত্র পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পরীক্ষায় অবহেলার অভিযোগে বহিষ্কৃত সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক সুপ্তিকণা মজুমদারের শাস্তি কমিয়ে আনা হয়। এ নিয়ে ৩০ অক্টোবর প্রকাশিত একটি সংবাদ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করেন শিক্ষক লিটন মিত্র। সুপ্তিকণা মজুমদারের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষকই অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। পোস্টের কোনটিতে তিনি উল্লেখ করেন ‘আসলে সবই সম্ভব’, আবার কোনটিতে ‘চমৎকার’।
এর প্রেক্ষিতে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আপনি আপনার ফেসবুক আইডি থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা করেছেন। যা চবি কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায়, আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে এই পত্র ইস্যুর তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বিষয়ে জয়নিউজকে বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া অশোভন আচরণ। এজন্য আমরা ওই শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন মিত্র বলেন, ‘চিঠিটি আমি হাতে পেয়ে বিস্মিত হয়েছি। কারণ চিঠিতে আমি সিন্ডিকেটের কোনো সিদ্ধান্তকে নিয়ে কটাক্ষ ও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেছি সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। তাই রেজিস্ট্রার মহোদয়ের প্রেরিত চিঠিটি আমার কাছে অপূর্ণাঙ্গ মনে হয়েছে। তাছাড়া ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ইস্যুতে কি লিখা যাবে বা কি লিখা যাবে না সে বিষয়টি নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা আছে কিনা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা যদি থাকে তাহলে তার একটি কপি আমাকে দিলে আমি সে নীতিমালা অনুযায়ী ফেসবুক ব্যবহারের চেষ্টা করবো।’
জয়নিউজ/নবাব/পিডি