হাটহাজারীতে হালদা নদী থেকে সকালে ড্রেজার ও বিকেলে অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১ অক্টোবর) ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন। এসময় জব্দ করা হয় দুইটি ড্রেজার ও তিনশ মিটার ঘেরা জাল। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, সকালে উপজেলার মেখল ইউনিয়নের আলমের কুল সংলগ্ন এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে হালদা নদীর মাঝখানে দুটি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছিল কতিপয় ব্যক্তি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার দুটিসহ সংশ্লিষ্টদের আটক করতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বালু উত্তোলন করা অবস্থায় ইউএনও তাদের থামতে বললে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ড্রেজারগুলো নিয়ে হালদা নদীতে ছুটতে থাকে এবং এক পর্যায়ে নিজেদেরকে আত্মরক্ষা করতে পাশের একটি শাখা খালে প্রবেশ করে। যদিও পরে তারা ওই শাখা খালে ড্রেজারগুলো রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে এর তিন ঘণ্টা পরই হালদা নদীতে ফের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে তিনশত মিটার অবৈধ ঘেরা জাল উদ্ধার করেন ওই ইউএনও। বিকেলে উপজেলার ছিপাতলী এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে হালদা নদীতে ঘেরা জাল ফেলে মাছ শিকার করার সময় ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ ঘেরা জাল উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ইউএনও’র সাথে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ ও মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোল্লা মো. জাহাঙ্গীর কবির উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও রুহুল আমিন মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হালদা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন ও জাল ফেলে মাছ ধরার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুইটি ড্রেজার ও তিনশ মিটার ঘেরা জাল উদ্ধার করি। দেশের সম্পদ হালদা নদীকে বাঁচাতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপজেলা প্রশাসনের ওই উর্ধ্বতন কর্তা।
জয়নিউজ/জুলফিকার