সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও সত্যাগ্রহ পদযাত্রা করেছে চট্টগ্রামের সচেতন হিন্দু সমাজ।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ১৫টিরও অধিক হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে সরকার ও প্রশাসনের অনুরোধে করোনা পরিস্থিতিতে গণভবন অভিমুখী লংমার্চ স্থগিত করা হয়। তবে ৩ দিনের সরকারি ছুটির দাবিতে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করার ঘোষণা দেন হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সচেতন হিন্দু সমাজের আহ্বায়ক রিপম দাশ শেখর। টিটু শীলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন রমনা কালি মন্দিরের উপদেষ্টা মিলন শর্মা, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কথক দাশ, উজ্জ্বল কুমার দেওয়ানজী, অশোক চক্রবর্তী, রুবেল কান্তি দে, অমিত ধর, সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ, রিপন দাশ, অজিত কুমার শীল, রুবেল কান্তি নাথ ও গোপাল দাশ টিপু।
এছাড়াও এতে লিপটন দেবনাথ লিপু, রথি দাশ, বাপ্পীদেব বর্মণ, অধ্যাপক শিপুল দে, অ্যাড. রাজীব দাশ, অ্যাড. শৈবাল শীল, শ্রীমৎ স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস, শ্রীমৎ তারণনিত্য নন্দন ব্রক্ষ্মচারী, তরুণ আশ্চর্য্য, কাঞ্চন আর্শ্চয্য, পূজা তালুকদার, উজ্জ্বল মল্লিক, প্রকৌশলী রাজীব দাশ, পিয়াল শর্মা ও ইন্দ্রনীল ঘোষসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল— জাগো হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, সনাতন সংগঠন, শারদাঞ্জলি ফোরাম, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, বিশ্ব সনাতন ঐক্য, গীতামমৃতম সংঘ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বৈদিক পরিষদ, সনাতন জাগরণ সংগঠন, রাধা বিনোদ কেন্দ্রীয় পরিষদ, ভ্রাম্যমাণ গীতা প্রচার সংঘ এবং বাগিশিক দক্ষিণ জেলা।
এতে বক্তারা বলেন, সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ–সুবিধার বিধান থাকা সত্বেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সে সুযোগ–সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে দুর্গাপূজা। পাঁচদিনের পূজার জন্য সরকারি ছুটি দেওয়া হয় মাত্র একদিন। যা হিন্দুদের সঙ্গে চরমভাবে বৈষম্য। আমরা রাষ্ট্রের কাছে কোনো অযৌক্তিক দাবি করছি না। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার মাধ্যমে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এসে যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নামতে হচ্ছে।
‘বিজয়া দশমীর দিন ১দিন সরকারি ছুটি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার পরিজন নিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে। সে কারণে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় সবসময় সরকারের কাছে দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি দাবি করেছে। এছাড়া সমাবেশ থেকে আসন্ন দুর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়।’
এর আগে গত সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজায় ৩ দিনের ছুটির দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে মানববন্ধন করা হয়।