নোয়াখালীর কবিরহাটে বিধবা এক নারীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় আরমান হোসেন লালু (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার রাতে অভিযুক্ত যুবককে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরমান হোসেন লালু উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।
মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন— উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের সেলিমের ছেলে শান্ত (১৮), একই ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (১৯), উত্তর লামছি গ্রামের আহছান উল্যাহর ছেলে ইউসুফ (২৬), উত্তর জগদানন্দ গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে মনির হোসেন (৫০) ও তার স্ত্রী ছালেহা খাতুন (৪৫)।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী নারীর ভাই বাদী হয়ে গত ৩ অক্টোবর কবিরহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয় জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, নিজ বাড়িতে একাই বসবাস করতেন বিধবা ওই নারী। এ সুযোগে কয়েক মাস আগে আরমান তার তিন সহযোগিকে নিয়ে ভিকটিমের বাড়িতে ঢুকেন। সে সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন আরমান। পরে ভিকটিম পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
মামলার বাদী আবুল হোসেন সেলিম বলেন, আমার বোন তার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। সে ৭ সন্তানের জননী। গত ৯ মে আরমান তার তিন সহযোগিকে নিয়ে আমার বোনকে প্রথম ধর্ষণ করে। এরপর থেকে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে তারা। সম্প্রতি সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, গত ৩ অক্টোবর ওই নারীর ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে মামলার ১নং আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।