বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের ৩৪ বছরের পথচলায় আবৃত্তিতে অনন্য অবদান ‘বোধন আবৃত্তি স্কুল চট্টগ্রাম’-এর । আবৃত্তির প্রসার ও চর্চার উৎকর্ষের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠা করে দেশের প্রথম আবৃত্তি স্কুল।
১৯৯০ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল মিলনায়তনে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর বোধন আবৃত্তি স্কুলের উদ্বোধন করেন। এখনও একই স্কুলে এটি পরিচালিত হচ্ছে।
আজ (৮ অক্টোবর) বোধন আবৃত্তি স্কুল চট্টগ্রামের ২৭ বছর পূর্তিতে অনলাইন আয়োজন হরা হয়। এর সঞ্চালনায় ছিলেন বোধনের সাধারণ সম্পাদক প্রণব চৌধুরী। এতে বোধনের শুরু, কোন ভাবনা থেকে আবৃত্তি স্কুলের জন্ম- এসব ইতিহাস নিয়ে স্মৃতিচারণ করা হয়।
স্মৃতিচারণ করেন বোধনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য পারভেজ চৌধুরী, প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী ও প্রীতিশ কুমার বল।
অনুষ্ঠানে কথামালায় অতিথি ছিলেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফ, ড. কুন্তল বড়ুয়া, নাট্যজন-সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজী, আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাসুদ বকুল, আবৃত্তিশিল্পী ফারুক তাহের ও আবৃত্তিশিল্পী মুজাহিদুল ইসলাম।
এছাড়া আলোচনা করেন বোধন সভাপতি আব্দুল হালিম দোভাষ, প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ বরন চক্রবর্তী, স্থায়ী পরিষদ সদস্য সুজিত রায়, অ্যাডভোকেট নারায়ণ প্রসাদ বিশ্বাস, সুছন্দা ঘোষ, প্রবীর পাল, জাফরিন জালাল, শিমুল নন্দী ও সায়রা শাহীদ।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী মিতালী রায়, নুসরাত রিনি ও দেবলিনা চৌধুরী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী তৈয়বা জহির আর্শি, বেনজির বীনতে শওকত, যশস্বী বণিক ও ঝলক কুমার লোভন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বোধনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাভেদ হোসেন।
জয়নিউজ/হিমেল