ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে চলতি সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হতে পারে। শুক্রবার (৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে তথ্যটি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধিত হয়ে আইনের ৯ (১) ধারায় যেখানে ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন ছিল, তা সরিয়ে সেখানে মৃত্যুদণ্ড যুক্ত করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে আগামী সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে এবং বিল আকারে একটি সামারি ওইদিনই রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতি ৯৩ (১) অনুচ্ছেদের বলে অধ্যাদেশ জারি করবেন এবং তা আইনে রূপ নেবে জানিয়ে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এরপর সংসদ অধিবেশন বসলেই প্রথম বৈঠকে এই অধ্যাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হবে।
নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের প্রশ্নে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে বলে অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নারী উন্নয়ন নীতিমালা গ্রহণ করে। এর আগে ১৮৬০ সালে করা ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা বাতিল করে শেখ হাসিনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ চালু করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ সহকারী বলেন, ধর্ষণের বিচার সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের জন্য যা যা করা দরকার সরকার তার সবই করছে। ধর্ষিত নারীকে বিচার চাইতে হলে নিজেকে ভালো চরিত্রের প্রমাণ দিতে হয়, দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে একজন নারীকে হেয়প্রতিপন্নের অভিযোগ ছিল। এভিডেন্স অ্যাক্ট-১৮৭২ ব্রিটিশদের করা এই আইনকেও সংশোধনের উদ্যোগ নেবে সরকার।
‘ধর্ষিতা নারীর শারীরিক পরীক্ষার একটা পদ্ধতি ছিল। সেটি ২০১৮ সালেই এই সরকার বাদ দিয়েছে। বর্তমানে উন্নতমানের কিট ব্যবহার করে ভিকটিমের পরীক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি অবমাননামূলক বিধান বাতিল হয়েছে। সরকার ভুক্তভোগী সকল মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নারীর সম্মান রক্ষায় আইনগত যা যা করা জরুরি তার সবই করা হবে।’