“পাপিয়া ও সুমন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের রাজনীতিবিদ বলা যায় না। বরং তারা তথাকথিত রাজনীতিবিদ। তারা নিজেদের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। কোনোভাবেই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেননি। এটা রাজনীতির জন্য কলঙ্কজনক। এ রায় রাজনীতিবিদদের জন্য একটা বার্তা।”
সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে পাপিয়া দম্পতির মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এটি উল্লেখ করেন ঢাকার এক নম্বর মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।
পৃথক দুটি অভিযোগে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। অস্ত্র মামলায় দুটি অভিযোগের একটিতে ২০ বছর এবং অপরটিতে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি অভিযোগের সাজা একত্রে চলবে। তাই তাদের ২০ বছর কারাভোগ করতে হবে।
গত ২৪ আগস্ট মামলার অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়। সাক্ষ্য শুরু হওয়ার দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মামলাটির রায় হলো।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।
জয়নিউজ