তৃণমূল নেতাকর্মীদের নির্বাচনি নির্দেশনা দিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি এজেন্টের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২১ অক্টোবর) ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের আওতাধীন ক ইউনিট, খ ইউনিট ও গ ইউনিট আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির পৃথক সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিমকে জয়ী করতে হলে সাংগঠনিক শক্তি প্রয়োগ করতে হবে মন্তব্য করে নাছির বলেন, নির্বাচনে এজেন্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিগত বিভিন্ন নির্বাচনে দেখা গেছে, ভোটের আগের রাতেও কোনো কোনো কেন্দ্রের এজেন্টের তালিকা নগর আওয়ামী লীগের হাতে আসেনি।
তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকায় যদি বিতর্কিত কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় বা তালিকা থেকে পরীক্ষিত-প্রকৃত কোনো ত্যাগী নেতাকর্মী বাদ পড়ে সেক্ষেত্রে নগর আওয়ামী লীগ নিজস্ব সিদ্ধান্তে ওই তালিকা পরিমার্জন বা সংশোধন করার এখতিয়ার রাখে। এজেন্টের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে দলের বিপক্ষে কাজ করবেন- এমন কর্মকাণ্ড চসিক নির্বাচনে হতে দেওয়া যাবে না। নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি- আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যেই এজেন্টের তালিকা নগর আওয়ামী লীগের দফতরে পাঠাতে হবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আগামী চসিক নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করার বিকল্প নেই। আমাদেরকে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামতে হবে।
চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। নির্বাচনে জয়ী হলে শুরুতেই আমার কাজ হবে তিনটি- নগরবাসীর ট্যাক্স আদায় সহনীয় পর্যায়ে রাখা, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প করা এবং বিগত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের গৃহীত সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
সভায় বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সুনীল সরকার, উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী এবং উপ-প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম।
জয়নিউজ/হিমেল