বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল পদ্মা নদী। এ কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ রয়েছে সকল নৌযান চলাচল।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বেড়ে গেলে নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা। মাঝ পদ্মায় প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় ঝুঁকি এড়াতে ভোর থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পটুয়াখালীতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯০০ আশ্রয়কেন্দ্র।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টায় দরবার হল জেলা প্রশাসন জরুরি সভা করে। জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে সকল উপজেলায় প্রস্তুতি সভা হয়েছে। জেলায় প্রায় ৯০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফনিতে কলাপাড়ায় একজন সিপিবি সদস্য মারা যান। তার সুরক্ষাসামগ্রী সঠিক ছিল না। তাই এবারের ঘূর্ণিঝড়ে যেসব স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন তাদের নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ২৮৫ মেট্রিক টন চাল মজুদ এবং ২ লাখ টাকা প্রস্তুত রয়েছে।
অপরদিকে ভলান্টিয়ার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পাঁচ উপজেলায় ৬ হাজার সিপিবি, ফায়ার সার্ভিসের ৫০ জন, রেডক্রিসেন্টের ৫০ জন এবং যুব উন্নয়নের ৩০০ জন ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছেন।
জয়নিউজ