নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হলে সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা নিতে হবে। বিগত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এই নির্বাচনে দলের নেতা-কর্মীদেরকে কাজে লাগাতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আওতাধীন ১, ২ ও ৩ নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির পৃথক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আ জ ম নাছির বলেন, নির্বাচনি কেন্দ্র কমিটিগুলো তৈরি করার সময় তৃণমূল নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে বিতর্কিত, ভিন্ন মতাবলম্বী কেউ কেন্দ্র কমিটিতে স্থান না পায়। নির্বাচনি মৌসুমে সংখ্যা ভারি কেন্দ্র কমিটি করে নেতাদের প্রিয়ভাজন হবেন। অথচ ভোটের বাক্সে ভোট পড়বে না— এমন কাজ আর করতে দেওয়া হবে না।
সংসদ উপ-নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরের একটা কেন্দ্রের দৃষ্টান্ত দিয়ে নাছির বলেন, এই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য তৃণমূল থেকে ১০১ সদস্যের একটা কেন্দ্র কমিটি মহানগর আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই কেন্দ্রটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভোট পেয়েছিল মাত্র ৫৬টি।
‘কেন্দ্র কমিটির সদস্যরাও যদি প্রার্থীকে ভোট দিত তাহলে ওই কেন্দ্র আওয়ামী লীগের অন্তত ১০১টি ভোট পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতার সম্পূর্ণ বিপরীত হয়েছে। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করছি। কেন্দ্র কমিটি করার সময় ত্যাগী, নিবেদিত, পরীক্ষিত ও প্রকৃত নেতাকর্মীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সংখ্যায় ভারী কেন্দ্র কমিটি গঠন করে কোনো লাভ নেই। নিবেদিত কেন্দ্র কমিটি করতে হবে।’
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। এতে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের।
এতে অন্যান্যের মধ্যে ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম, উপ-প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সদস্য বেলাল আহমেদ, আবদুল লতিফ টিপু, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক ইউনুস কোম্পানি, ইউনিট নেতা সেলিম মিয়া, মো. হারুন, শওকত হোসেন, বেলাল হোসেন বাপ্পী, জিয়াউর রহমান, নিজাম কাদের, সরোয়ার আলম ভুঁইয়া ও জাহাঙ্গীর আলম রানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।