কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ‘সালমান শাহ গ্রুপের’ প্রধান সালমান শাহকে (৩০) ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আটক করেছেন এপিবিএনের সদস্যরা। আটক সালমান লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সোনা মিয়ার ছেলে।
কক্সবাজারস্থ এপিবিএন (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) ১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি মো. হেমায়েতুর রহমান জানান, শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
এপিবিএন জানায়, টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয়। এ সব বাহিনী ক্যাম্পে নানা ধরণের অপরাধ সংঘটনে জড়িত। আটক সালমান শাহ নিজের নামে গড়া ‘সালমান শাহ বাহিনীর’ প্রধান।
এসপি হেমায়েতুর বলেন, শুক্রবার বিকেলে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় আবু বক্কর মেম্বারের বাড়ির উত্তর পাশে পাহাড়ি এলাকায় একটি ঝুপড়িতে কিছু সন্ত্রাসী অবস্থান করছেন— এমন খবরে এপিবিএনের একটি দল অভিযান চালায়।
‘এ সময় এপিবিএন সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে চার/পাঁচজন সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় তৈরি দুটি রামদা ও ৪ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।’
এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী সালমান শাহ গ্রুপের প্রধানকে আটক করতে এপিবিএন দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। অবশেষে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
হেমায়েতুর রহমান জানান, টেকনাফে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। এ সব সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পে মাদকপাচার, মানবপাচার, ডাকাতি, খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
আটক সালমান শাহের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান এপিবিএন ১৬ ব্যাটালিয়নের এই অধিনায়ক।