করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে এক প্রকার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যালয় খোলা গেলে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মৌলিক সক্ষমতা তৈরিতে ওই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়নে কাজ করছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ)। আর যদি সেটি সম্ভব না হয়, তাহলে নিজস্ব পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণিসহ সকল ক্লাসের সনদ বিতরণ করবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে নেপের মহাপরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য ও বিষয়গুলো যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে এ সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। অনুমোদনের জন্য আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হতে পারে। তখন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসটি বাস্তবায়ন করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে যতদিন সময় পাওয়া যাবে ততদিনই পড়ানো হবে। এরপর শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে নেয়া হবে। সেই লক্ষ্যে ৩০ দিন ও ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে রাখা হচ্ছে।
অবশ্য আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সবকিছুই করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।