স্বামীর খোঁজে কুমিল্লা থেকে নগরের মতিঝর্ণায় এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। পরে ধর্ষক মনিরের সহযোগীরা ওই গৃহবধূকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ধর্ষণে অভিযুক্ত মনির হোসেনসহ তার ৩ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খুলশী থানা সূত্র জানায়, রবিউল আলম ও আছমা আক্তার দম্পতি লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। মাস খানেক আগে শহরের বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে যান নিজ বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। সেখানে দু’জনের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে আছমা রেখে অন্যত্র চলে যান রবিউল। পূর্ব পরিচিত অভিযুক্ত ধর্ষক মনির স্বামী রবিউল মতিঝর্ণায় আছে বলে ওই গৃহবধূকে জানান। খবর পেয়ে গত শুক্রবার মনিরের বাসায় আসেন তিনি। পরেরদিন সকালে মনিরের স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজে চলে গেলে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় গলায় ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে মনির। পরে মনিরের বাসা থেকে চলে যান তিনি। বিকেলে আবার ফেলে যাওয়া বোরকার জন্য এলে মনিরের সহযোগীরা তাকে মারধর করে। বখাটেরা ওই নারীর সঙ্গে থাকা ২ হাজার টাকাও এসময় ছিনিয়ে নেয়।
শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ওই নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত মনিরসহ তার ৩ সহযোগী মাসুদ, সোহেল, দিদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় মনিরের বাসা থেকে একটি ধারালো ছুরিও উদ্ধার করা হয়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান জানান, ভিকটিম ওই নারী মনিরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। রাতেই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মনিরসহ তার ৩ সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হবে।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি