হাটহাজারী উপজেলার প্রায় সব বাজারে সামুদ্রিক ‘লাল চান্দা’মাছ নামে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা।
স্থানীয়দের অভিযোগ হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার, লালিয়ারহাট, নজুমিয়া হাট, কাটিরহাট, সরকারহাট, নাজিরহাট, হাটহাজারী সদর, চৌধুরী হাটে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি হচ্ছে অবাধেই। দাম কম বলে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে এসব মাছের চাহিদা একটু বেশি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার হাটবাজারে ৮০ থেকে ১৫০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হয় এ মাছ।
এমনি এক খবরে গত ৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় উপজেলার লালিয়ারহাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন। এসময় উক্ত বাজার থেকে প্রায় ২০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। তবে বিষয়টি আচঁ করতে পেরে বিক্রেতারা মাছ রেখে সটকে পড়ে।
এব্যাপারে ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশের জলজ পরিবেশের সঙ্গে পিরানহা মাছ সংগতিপূর্ণ নয়। এগুলো রাক্ষুসে স্বভাবের। অন্য মাছ ও জলজ প্রাণিদের খেয়ে ফেলে। দেশীয় প্রজাতির মাছ তথা জীববৈচিত্র্যের জন্য এগুলো হুমকি স্বরূপ। এ কারণে সরকার পিরানহা মাছের চাষ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
এদিকে পিরানহা মাছটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ হোসাইন জানান, পিরানহা মাছটি নিষিদ্ধ ও বিষাক্ত। এটি খাওয়া তো দূরের কথা কোন কারণে কামড় দিলেও তা মানবদেহের জন্য চরম ক্ষতিকর। তাছাড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদার আসপাশ এলাকায় পিরানহা মাছের চাষ যেন না হয় সেটিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ যদি ক্ষতিকর পিরানহা মাছ চাষ অব্যাহত রাখা হয় তবে খালবিল ও নদীতে এ মাছ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে দেশি কোন মাছই আর থাকবে না।
তাছাড়া রাক্ষুসে স্বভাবের এ মাছ কোনভাবে হালদায় ছড়িয়ে পড়লে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হবে। তাই প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জয়নিউজ/আবু তালেব/পিডি