লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকার অ্যাকাউন্টে ১৪৮ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের ঘটনায় পাপুল ও তাঁর স্ত্রী এমপি সেলিনাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
বুধবার (১১ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। চার আসামির বাকি দুজন হলেন, পাপুলের শ্যালিকা সেজমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।
এর আগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তাঁর স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলার অনুমোদন দেয় দুদক। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি কুয়েতে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের অর্থ ও মানবপাচারের ঘটনা প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালায় দুদক। এতে পাপুলের স্ত্রী, শ্যালিকাসহ বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, মানবপাচারের টাকায় শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এখন সম্পদশালী। কুয়েতে মানবপাচারের হোতা পাপুল অর্থ ও মানবপাচারের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ আড়াল করতে শ্যালিকার অ্যাকাউন্টে রাখেন। শুধু তা-ই নয়, অবৈধ পথে অর্জিত বিপুল অর্থ বৈধ হিসেবে দেখাতে শ্যালিকা জেসমিনের মালিকানায় ‘লিলাবালি’ নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলেন এমপি পাপুল। ওই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাচার করা হয় ১৪৮ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে এমপি পাপুল, তাঁর স্ত্রী ও সন্তান এবং শ্যালিকার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
জয়নিউজ/পিডি