কক্সবাজারে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপের পক্ষে আইনি সহায়তা দেওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে রানা দাশগুপ্তের পদত্যাগ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এসময় প্রদীপকে স্মরণকালের ধিক্কৃত, নিন্দিত হত্যাকারী ও ধর্ষণকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টায় নগরের মোমিন রোডে বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ জনগণের পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা রানা দাশগুপ্ত কিভাবে প্রদীপের পক্ষে আইনি সহায়তা দেন সেই প্রশ্ন তুলে কাবেরী বলেন, যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সমান এবং তার নিয়োগ গ্যাজেট নোটিফিকেশনে সেহেতু তিনি সাংবিধানিক পদে থেকে ঘৃণিত আসামির পক্ষ আইন পেশায় নিয়োজিত হতে পারে না।
তিনি বলেন, লিগ্যাল রিমেম্বার অ্যাক্ট অনুযায়ী রাষ্ট্রের দুই ধরণের আইন কর্মকর্তার কথা উল্লেখ আছে- একটি সার্বক্ষণিক এবং বেতনভুক্ত অপরটি চুক্তিভিত্তিক এবং মামলার আনুপাতিক হারে বেতনভুক্ত। এখন রানা দাশগুপ্ত সার্বক্ষণিক পদাধিকার বলে নবম বেতনভুক্ত কর্মকর্তা, যা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা। রাষ্ট্রের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ নবম ক্যাটাগরির একটি পদ।
‘এদিক থেকেও কোন স্বীকৃত আসামির পক্ষে রানা দাশগুপ্ত আইনি সহায়তা দিতে পারেন না। যদি তিনি তা চান তবে তাকে সাংবিধানিক পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।’
কাবেরী বলেন, সিনহা হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রদীপের মূল সম্পৃক্ততা উঠে আসে। ইয়াবা নির্মূলের নামে প্রদীপ ইয়াবা ব্যবসায়ীর পাশাপাশি নিরাপরাধ ৩০ ভাগ মানুষকে হত্যা করে। এছাড়াও ধর্ষণ, খুন এবং ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গেও প্রদীপ জড়িত ছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সাম্প্রদায়িক ইস্যুর কথা তুলে রানা দাশগুপ্তের ওসি প্রদীপের পক্ষ নেওয়ার নিন্দা জানিয়ে তিনি তাঁর পদত্যাগ চান। অন্যথায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ট্রাইব্যুনালটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলেও তিনি মত দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী পূর্ণ চন্দ্র দে, এম. শাহাদাৎ নবী খোকা ও জাওইদ আলী চৌধুরী প্রমুখ।