কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদ মামুন খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মোঃ ওমরকে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর এলাকায় খালার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বর্তমানে কর্ণফুলী থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ওমরের বাড়ি উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শাহমীরপুর এলাকায়। ফারুক মামুনকে হত্যার পর এলাকা থেকে পালিয়ে কিশোরগঞ্জে খালার বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। ওমর নিহত ছাত্রনেতা মামুনের পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের।
কর্ণফুলী জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহেদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জাহেদুল ইসলাম জানান, ‘মামুন হত্যা মামলার ৩ নাম্বার এজাহারভুক্ত আসামি ওমরকে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর এলাকায় তার খালার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওমরকে এ হত্যাকান্ডের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ওমরের দেয়া তথ্যে চাঞ্চল্যকর হত্যার মূল বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। হত্যাকান্ডে তার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ হত্যাকান্ডটি মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও এলাকায় আধিপত্যের জেরে সংঘটিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আধিপত্যের জেরে ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদকে গত বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তার বাড়ির একশ গজ দূরত্বে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এসময় মামুনের সাথে থাকা আরেক ছাত্রলীগ নেতা আজিজ প্রাণে রক্ষা পায়। বর্তমানে আজিজ আহতবস্থায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার একদিন পর নিহতের বড় ভাই মো. ইয়াছিন বাদী হয়ে ৫ জনকে এজাহারভুক্তসহ আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিরা হচ্ছে বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর এলাকা নুরুল আলমের পুত্র মো. আজম (২৮), মকবুল আহমদের পুত্র মো. ওমর (২০), নুরুচ্ছফা প্রকাশ সাহেব মিয়ার পুত্র মো. আশিক (২৬), আবু তাহেরের পুত্র আলী আজগর (২৪) ও মোহাম্মদ ছৈয়দের পুত্র মো. শাহনুর (২২)। তার উক্ত এলাকার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
জয়নিউজ/জুলফিকার