চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১৫ জন শিক্ষকের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি ও তা না পেয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত সাদেক হোসেন টিপু শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা হিসেবে পরিচিত।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। টিপু বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির নির্মাণকাজ চলাকালে টিপু ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দিলে তাকে কাজে বাধা দেওয়া এমনকি ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করতে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
সর্বশেষ আজ সকালে টাকা নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করার কথা বললে তিনি পুলিশকে জানিয়ে তার সাথে দেখা করতে শাহজালাল হলের সামনে আসেন। তারপর হেলালকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন টিপু। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী ঠিকাদার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির পূর্ব দিকে লাল পাহাড় এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষকের নির্মাণাধীণ ৮ তলা ভবনের কাজ দেড় বছর আগে শুরু হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় আমাকে চাঁদার জন্য বলেন সাদেক হোসেন টিপু।
‘সর্বশেষ আমি ২ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। ইদানিং প্রায় আমাকে টাকা দিতে বলেন তিনি। এমনকি দেখা না করলে ক্যাম্পাসে আমার মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে আজ উনার সঙ্গে দেখা করতে যাই। এরপর আমাকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করলে পুলিশ আসে।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাদেক হোসেন টিপুর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনার সময় আমি টহলে ছিলাম। মারধর করতে দেখে এগিয়ে গেলে সাদেক হোসেন টিপু পালিয়ে যায়। পরে প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি অবহিত করি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আতিকুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেই প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে গিয়েছে।
ইতোমধ্যে শিক্ষকরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগেও সাদেক হোসেন টিপুর নামে বেশকিছু অভিযোগ উঠেছিল। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।