বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নগর নেতারা চেষ্টা চালিয়েছিলেন ৪ অক্টোবরের সমাবেশ লালদিঘীতে করতে। কিন্তু অনুমতি মিলেনি। সেই সমাবেশ নাসিমন ভবনের সামনের মাঠে করার অনুমতি মিলেছে। তবে সমাবেশ ঘিরে বড় ধরনের শোডাউন করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি বিএনপির। এখনো তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন লালদিঘী মাঠে সমাবেশ করার। এক্ষেত্রে তারা ৪ অক্টোবরের সমাবেশ কোনোরকম চালিয়ে নিয়ে সপ্তাহ খানেক সময়ের ব্যবধানে আরেকটি সমাবেশ করতে চায়। এজন্য তারা লালদিঘীর বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন কাজীর দেউড়ি চত্বর।
এ ব্যাপারে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন জয়নিউজকে বলেন, ৪ অক্টোবর আমরা লালদিঘী মাঠে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালনের অনুমতি চেয়েছি। প্রশাসন আমাদের দলীয় কার্যালয় মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, লালদিঘী মাঠে ৪ তারিখ সমাবেশের অনুমতি না পেলে আমরা ১০ অক্টোবরের একটা প্রস্তাব দিয়েছি প্রশাসনকে। বিষয়টি প্রশাসন ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। ১০ তারিখের জন্য প্রশাসন বিকল্প স্থানও জানতে চেয়েছে। লালদিঘীর বিকল্প হিসেবে আমরা কাজির দেউড়ি চত্বর চেয়েছি। আশা করছি প্রশাসন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বিবেচনায় লালদিঘী বা কাজির দেউড়ি চত্বর সমাবেশ আয়োজনে বাধা দিবে না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম জয়নিউজকে বলেন, আলাপ-আলোচনা চলছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, ৪ তারিখের কর্মসূচি আমরা দলীয় কার্যালয় মাঠেই করতে হচ্ছে। আমরা লালদিঘী মাঠে আরেকটা সমাবেশ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি পুলিশ বাঁধা দিবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লালদিঘী মাঠে কর্মসূচি করার গুরুত্বই আলাদা। এটি দলের জন্যও জরুরি।
এদিকে সর্বশেষ কবে লালদিঘী মাঠে বিএনপি সমাবেশ করেছে জানতে দলের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ বলতে পারেননি। তাদের সবার উত্তর ছিল অভিন্ন- স্মরণে নেই।