গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
এসময় সাপের বিষ পাচারকারীর চক্রের মূলহোতা মামুন তালুকদার (৫১) ও তার সহযোগী মো. মামুনকে (৩৩) আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার।
তিনি জানান, ২টি বড় লকার ও ৬টি কাঁচের কৌটায় সংরক্ষিত ছিল সাপের বিষ। প্রত্যেকটি বোতলের গায়ে লেখা— COBRA Snake Poison of France, Red Dragon Company, Cobra Code No-80975, Made in France।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইডি ঢাকা মেট্রোর একটি টিম গাজীপুরের বাসন থানা এলাকা থেকে সাপের বিষ ক্রয়-বিক্রয় ও পাচারকারী একটি চক্রের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তকালে সিআইডি জানতে পারে, এরকম আরও কয়েকটি বড় ধরনের পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে সাপের বিষ পাচারকারীর চক্রের মূলহােতা মামুন তালুকদার ও তার সহযোগী মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।
রেজাউল হায়দার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সাপের বিষ পাচার হয়। এটার বৈশ্বিক মার্কেট রয়েছে, তবে বাংলাদেশে বিক্রির কোনো বৈধতা নেই।
তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে এই সাপের বিষ কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশে এসেছে। দুই-তিন হাত ঘুরে হয়তো এই চক্রের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হতো। সাপের বিষ ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালে এটি ব্যবহারের বৈধতা নেই। যে কারণে এটি বাংলাদেশের ব্যবহারের সুযোগও নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল হায়দার বলেন, যথাসম্ভব এই অবৈধ সাপের বিষ পাচারের জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহৃত করা হচ্ছিল। পুরো তদন্ত শেষ হলে এটা স্পষ্ট হবে কে বা কারা কোন জায়গা থেকে আমদানির পর এটা পাচার করছিল। ইতোমধ্যে কয়েকটি চালান বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
জয়নিউজ/পিডি