চট্টগ্রাম-টেকনাফ মহাসড়কের চকরিয়া থেকে যাত্রী বেশে উঠে সৌদিয়া পরিবহনের বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করেছে সশস্ত্র ডাকাত দল। এসময় ৭-৮ জন ডাকাত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক পথে চলন্ত বাসে যাত্রীদের জিম্মি করে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ভোর রাত সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী চলন্ত বাসে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন যাত্রী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি মারধর ও গুলি ছুড়ে। এসময় গুলিবিদ্ধ ২ জনসহ ১৫ জন আহত হয়।
ডাকাতের গুলিতে আহত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি গ্রামের এজাহার আহমদের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭) এবং রাকিব উদ্দিন (৩০) নামের আরেক যাত্রী।
মামুন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি গ্রামের এজাহার আহমদের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে থানায় আনা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস থেকে ৩৩ যাত্রী নিয়ে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস টেকনাফের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পরে কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে লুঙ্গি পরিহিত ব্যাগ নিয়ে আরও ৭ যাত্রী বাসে উঠে।
চকরিয়া থানা পুলিশ জানায়, সৌদিয়া পরিবহনের ওই বাসটি রাত সাড়ে ৩টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ঢালায় পৌঁছালে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে চালকের আসনে বসে এক ডাকাত গাড়ি চালাতে থাকে। অপর ডাকাতরা চলন্ত বাসে দেশীয় বন্দুক ও চাপাতি ও ছোরার ভয় দেখিয়ে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা কেড়ে নেয়। পরে বাসটি খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী এলাকায় বাসটি থামিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ডাকাত কবলিত বেশ কয়েকজন যাত্রী থানায় এসে ঘটনাটি জানায়। যাত্রীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে একটি মামলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।