টেকনাফে গত সেপ্টেম্বর মাসে ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। এছাড়া বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আছাদুদ-জামান চৌধুরী। বিজিবি’র তথ্য মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে নাফ নদী, সীমান্ত ও চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে পাচারকারীসহ ৬৬ হাজার ৭১৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বাকি ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৬ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
এ ঘটনায় ৩৮টি মামলায় ৩২ জনকে আটক ও ২০ জনকে পলাতক আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে ১০০ ক্যান বিয়ার, ১৬৩ বোতল বিদেশি মদ, ১ লিটার চোলাই মদ, ১৮ বোতল ফেনসিডিল ও ৯.৫০৭ কেজি গাঁজা এবং ১ কোটি ৫১ লাখ ২৭ হাজার ৩২০ টাকা মূল্যের চোরাই পণ্য। এসব ঘটনায় ২৭টি মামলা করা হয়েছে এবং একজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গত মাসের ৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফে আড়িয়া খাল থেকে ৮ লাখ এবং হাড়িয়াখালী লবণ মাঠ থেকে ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই সময় কাউকে আটক করা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জলপথে আসা ইয়াবা টেকনাফ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা বরাবরই জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আসছি। গত এক মাসে আমাদের পারফরম্যান্সই এর প্রমাণ। এ মাসে আমরা সাড়ে ১৪ লাখের বেশি ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।’
জয়নিউজ/জুলফিকার