প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো সাংবাদিক ‘মিথ্যা তথ্য’ না লিখলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। অপরাধী মন যাদের, তারা ভয় পাবে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগদান শেষে বুধবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে চ্যানেল আই এর বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ‘আপনি নিজেও চান সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনটা হোক, কিন্তু আপনি কতটা আশাবাদী?’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এটা মনে করি। হ্যাঁ, এবার সব দলই আসবে। এটা আমরা আশা করি। তবে যদি কেউ না আসে, সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাদের কোনো কিছু একটা করণীয় নেই।’
‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায় এবং তারা নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। বাংলাদেশে এখন অনেক দল, সেখানে কোন দল আসবে আর কোন দল আসবে না, সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। তাদের সিদ্ধান্ত তো আর আমি নিতে পারি না। এটা তাদের নিতে হবে।’
আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের কারণে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এবারও তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে। আর সেটি না হলে ভোটে আসবে না- এমনটাই বলছে বিএনপি।
ওই নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে প্রধানমন্ত্রী নানা উদ্যোগ দিয়েছিলেন। তবে এবার তিনি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না, সেটি আগেও জানিয়েছেন এবং আজকেও জানালেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০০৮ এর নির্বাচনের পর ২০১৪ এর নির্বাচনের আগে তখন আমার একটা চেষ্টা ছিল যে, তখনকার যারা প্রধান বিরোধী দল ছিল বা অন্যান্য বিরোধী দল, আমি তাদের একটা আস্থার জায়গা সৃষ্টি করার জন্য আহ্বান করেছিলাম, যে আসুন সকলে মিলে একটা সরকার গঠন করে নির্বাচন করি।’
‘তখন বিরোধী দল বলতে পার্লামেন্টে যারা ছিল, তারা কিন্তু সাড়া দেয়নি। অন্যান্য যেসব দল সাড়া দিয়েছিল, আমরা তাদেরকে নিয়েই একটা নির্বাচন করি। সেই নির্বাচন ঠেকানোর নামে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারে তারা।’
‘আপনারা চিন্তা করে দেখুন, আপনারা কাদের জন্য এত উদ্বেগ প্রকাশ করছেন? মানুষকে যারা মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। মানুষকে যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে, যারা মানুষের ওপর এত জুলুম করতে পারে, তাদের জন্য এত কান্নাকাটি, এত মায়াকান্না কেন, আমি বুঝতে পারি না।’
‘এটা তো দেশবাসীকে বুঝতে হবে। কয়েক হাজার মানুষকে তারা পুড়িয়েছে। আপনারা তো সাংবাদিক। আপনারা কি খোঁজ নিয়েছেন, যারা মারা গেছে, তারা তো মারা গেছে, কিন্তু যারা পুড়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে, তারা পুড়ে এখন কী অবস্থায় আছে?’
জয়নিউজ/শহীদ/জুলফিকার