মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে বেশ আগে থেকেই। প্রথমদিকে তারা ভাসানচরে যেতে রাজি হচ্ছিল না, সরকারও এ ব্যাপারে জোর করেনি। কিন্তু কিছুদিন পরে যখন তাদের ইচ্ছানুযায়ী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখনই আপত্তি জানিয়ে বসলো দুটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রায় ২০টি বাস কক্সবাজার থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। স্থানান্তর হতে রাজি, এমন ৪ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ধীরে ধীরে সবাইকে সেখানে নেওয়া হবে। কিন্তু প্রথমবার স্থানান্তরের মধ্যেই আপত্তি আসলো মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় ভাসানচরের পথে যাত্রা করলেন রোহিঙ্গারা
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সম্মতি বা সবুজ সংকেত ছাড়া রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা হবে না বলে জাতিসংঘকে কথা দিয়েছিল বাংলাদেশ।
‘স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করার মাধ্যমে দেশটি সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। তাছাড়া জাতিসংঘের কারিগরি মূল্যায়নকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে, যা উচিত নয়।’
বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই বলে আসছে, জোর করে কাউকে স্থানান্তর করা হবে না। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছে, তারা এমন অন্তত ১২টি পরিবারের খোঁজ পেয়েছেন যারা ভাসানচরে যেতে চায় না অথচ তাদেরকে স্থানান্তরের তালিকায় রাখা হয়েছে। তালিকায় থাকা এমন কেউ কেউ ভয়ে পালিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি।