করোনা প্রতিরোধে মুখে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচার কার্যক্রমের নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এমন পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
করোনা প্রতিরোধে মুখে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মসজিদের মাইকে প্রচার, জুমার খুতবায় বয়ানের পরেও কাজ হয়নি। শতভাগ মানুষ মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না। পরবর্তীতে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকার উদ্যোগ, প্রচারণা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জেল জরিমানাও করা হচ্ছে। এতেও কাজ হচ্ছে না।
মানুষকে মাস্ক পরানো যাচ্ছে না। নানা অজুহাতে শহরে ও শহরের বাইরের মানুষ মাস্ক ব্যবহার করা নিয়ে খামখেয়ালিপনা করেই যাচ্ছে। এ জন্যই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচার কার্যক্রমের নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, জরিমানা ও জেল দেওয়ার পরেও মানুষের মধ্যে সেভাবে সচেতনতা আসেনি। সে জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে– স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে প্রচার করতে।
‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দেওয়া হয়েছে, এফবিসিসিআইসহ যারা আছে তাদের সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে তাদের আওতাধীন সবাই যেন মাস্ক ব্যবহার করে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, তাদের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রচারণা করতে।’
সচিব জানিয়েছেন, এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উনার অঙ্গ-সংগঠনে যারা আছে তাদের সবাইকে ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন দিয়েছেন, যে তাদের প্রোগ্রামে যারা আসবেন, তারা যেন অবশ্যই মাস্ক পরে আসেন। অবশ্যই তাদের মাস্ক পরতে হবে। তারা ম্যাসিভ ক্যাম্পেইন করবে।
খন্দকার আনোয়ারুল আরও বলেন, শীত যেভাবে বাড়ছে তাতে আল্লাহ না করুক তাহলে আরও নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে। শুধু জেল-জরিমানা করলেই হবে না। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় প্রধানমন্ত্রী কাপড়ের মাস্ক দিতে বলেছেন। যা মানুষ ধুয়ে ব্যবহার করতে পারবে।