সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, নন লিথাল উইপেন (সীমান্তে প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র) ব্যবহারের নির্দেশনা তিনি নিজে দেবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে এ বিষয়ে ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো সীমান্ত হত্যা চাই না। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে সীমান্তে ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি রয়েছে। আমাদের লোকজনও সেসব অ্যাক্টিভিটির সঙ্গেও জড়িত। এসব বন্ধ করতে হবে। তবে আমরা হতাশ নই। আমরা আশাবাদী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সম্পর্ককে সোনালি অধ্যায় হিসেবে অবহিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, থাইল্যান্ড-মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে যে সড়ক যোগাযোগ রয়েছে, সেই সড়কে বাংলাদেশও যোগ দিতে আগ্রহী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে এই সড়কে যুক্ত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে বিএনপি আমলের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই সড়কে যুক্ত হতে চাননি। আজকের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই সড়কে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সড়কে যুক্ত হওয়া গেলে আমরা লাভবান হবো।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন ইস্যু তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া অভিন্ন ছয়টি নদীর সীমানা নিষ্পত্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
বৈঠকে ব্রিকস ব্যাংকে যোগদানের জন্য বাংলাদেশকে নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও মন্ত্রী এ সময় জানান।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় দুই প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেন তারা। এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।