রাজস্ব ফাঁকি দিতে ছলচাতুরি করেছিল সুফলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। এক ধরনের পণ্য আনার ঘোষণা দিয়ে আনে অন্য ধরনের পণ্য। মিথ্যাচারের মাধ্যমে তারা সরকারকে ঠকিয়েছে ৮৫ লাখ টাকা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ধরা পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের জালে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান জয়নিউজকে জানান, সুফলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং চীন থেকে কাটিং ব্লেড আমদানি করবে বলে ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমসকে। যথারীতি জাহাজে করে কন্টেইনার আসে চীন থেকে। কিন্তু সেই কন্টেইনারে কাটিং ব্লেডের পরিবর্তে মিলেছে ব্রাইট পলিশড স্টিল স্ট্রাইপ ও ব্রাস স্ট্রাইপ কয়েল। যে পরিমাণ কাটিং ব্লেড আমদানির ঘোষণা করা হয়েছিল, তার কাস্টমস শুল্ক কর ৬৭ হাজার টাকা। বিপরীতে তথ্য গোপন করে আনা ব্রাইট পলিশড স্টিল স্ট্রইপ ও ব্রাস স্ট্রাইপ কয়েলগুলোর কাস্টমস শুল্ক কর ৮৫ লাখ টাকা!
এ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাসের সময় কাস্টমসের আনস্টাফিং শাখার (এআইআর) জালে ধরা পড়ে যায় চালানটি। তাদের পণ্যগুলোর খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট উজালা শিপিং লাইন্স লিমিটেড।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে আমদানিকারকের নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। কায়িক পরীক্ষা শেষে ঘোষণা বহির্ভূত অতিরিক্ত পণ্য পাওয়া যায়। পণ্যগুলোর শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। শুল্ক করসহ পণ্যগুলোর মূল্য ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। চালানটির বি/ই নম্বর- ১৩৯১৩৬২।
তিনি জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর এ চালানটি খালাসের আবেদন জানিয়েছিল তারা। আবেদনের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ শুরু করে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আনার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২৬ সেপ্টেম্বর চালানটি আটক করা হয়। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান কাস্টমস কমিশনার।
জয়নিউজ/ফরহান অভি/আরসি