যুক্তরাজ্যে করোনভাইরাসের নতুন যে ধরন শনাক্ত হয়েছে তা মোটেই ‘নিয়ন্ত্রণে নেই’ বলে সতর্ক করে দিয়ে সবাইকে নতুন কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
তিনি বলেন, লন্ডনসহ যেসব জায়গায় চার স্তরের বিধিনিষেধ জারি রয়েছে তা না মানাটা ‘পুরোপুরি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ হবে।’ লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে কিছু সময়ের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে।
হ্যানকক বলেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকা করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের কারণে সরকারকে বড়দিনে বিধিনিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছে। বড়দিনের মাত্র দিন কয়েক আগেও লকডাউন বলবৎ রাখার জন্য ব্রিটিশ সরকার সমালোচনার শিকার হয়েছে।
তবে হ্যানকক বলছেন, নতুন স্ট্রেইনের কারণে কোভিড সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ার আলামত পেয়ে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দ্রুতই বিধিনিষেধ জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের নতুন রূপটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ’ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বিবিসি জানায়, করোনাভাইরাসের নতুন যে ধরন শনাক্ত হয়েছে সেটি মূল ভাইরাসের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি দ্রুত ছড়ায়। যদিও ভাইরাসের নতুন ‘স্ট্রেইন’ দ্রুত ছড়ালেও সেটি বেশি প্রাণঘাতি নয় বলেই এখনও বিশ্বাস করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস যেভাবে রূপ পরিবর্তন করেছে ঠিক একইভাবে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভাইরাসটি রূপ বদল করেছে বলে বিবিসি’কে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
কোভিড-১৯ এর টিকার বেলায় নতুন এই ধরনটির ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে কি-না তার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। ভাইরাসের নতুন ওই ধরন ছড়িয়ে পড়া আটকাতে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনসহ দক্ষিণপূর্ব ইংল্যান্ডের বড় অংশজুড়ে এখন নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।
নানা দেশও যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ‘স্ট্রেইন’ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে। নেদারল্যান্ডস রোববার (২০ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ ঘোষণা করেছে।