চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বসেছে তাদের উন্নয়ন তথ্যের পসরা নিয়ে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দশ বছরের অর্জিত সাফল্যের তথ্য মিলছে তাদের স্টলে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দেশব্যাপী যাবতীয় প্রকল্পগুলোর তথ্য এক ছাদের নিচেই মিলছে। শুধু এ ক’টি নয়, বাংলাদেশ সরকারের সবক’টি সেবা ও উন্নয়ন সংস্থা, এনজিও, বেসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১৭০টি স্টলে নিজেদের উন্নয়ন তথ্যের ভারা নিয়ে বসেছে।। চট্টগ্রামে তিন দিনব্যাপী শুরু হওয়া উন্নয়ন মেলায় একই সামিয়ানার নিচে দর্শনার্থীরা পাচ্ছেন হাজারো উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সকালে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়েছে উন্নয়ন মেলা। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়। টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী এ মেলা সারা দেশে একযোগে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামে ১৭০টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারের উন্নয়নের তথ্য নিয়ে বসিয়েছে স্টল।
সকাল ১০টায় এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে মেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এসএম রবিউল হাসান, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগর কমান্ডার মো. শাহাব উদ্দিন এবং জেলা কমান্ডার মোজাফফর আহম্মদ।
সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। মেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদফতর, কৃষি মন্ত্রণালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, বাংলাদেশ বেতার, বন বিভাগ, পাসপোর্ট অধিদফতর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মৎস্য অধিদফতর, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস, বিআরটিএ, এলজিইডি, বিটিসিএল, বিআইডব্লিউটিএ, কারা অধিদফতর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, খাদ্য বিভাগ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সিভিল সার্জন কার্যালয়, বিসিক, চা বোর্ড, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, জেলা আনসার-ভিডিপি, সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকসহ ১৭০টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
জয়নিউজ/ফরহান অভি/আরসি