চলতি ডিসেম্বর মাসজুড়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় সারচার্জ ছাড়াই জমা দেওয়া যাবে কর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি। তবে আসছে জানুয়ারি থেকে এসব ফি আদায়ে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক।
এ জন্য জানুয়ারি থেকে বকেয়া আদায়ে জরিমানাসহ সব আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ঘোষণা দিয়েছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। প্রয়োজনে যারা কর দেবেন না তাদের নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) নগরের স্টেশন রোডে চসিক রাজস্ব সার্কেল-৪ আয়োজিত স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান চসিক প্রশাসক।
প্রশাসক সুজন বলেন, আগে নগরবাসী অভিযোগ করতেন কর আদায়কারীরা পৌর কর নিতে বাসায় যান না। তাই ভোগান্তি কমাতে স্পটে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর ব্যবস্থা করা হলো।
এদিকে সার্কেল-৪ এ প্রথম দিনে আদায় করা হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তাছাড়া কর প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রাহক ছিলেন মোটেল সৈকত, আম্বিয়া গ্রুপ, রোকসানা বেগম, মুস্তাফিজুর রহমান, শামসুল ইসলাম। পরে কর প্রদানকারী ও ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া কয়েকজন গ্রাহককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রশাসক।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও উপ-কর কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) মো. সারেক উল্লাহ, কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী, মো. রমিজুল হক চৌধুরী, রতন ভট্টাচার্য্য, ক্রোকী কর্মকর্তা বাবু বিনয় ভুষন আচার্য্য।