চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এসময় মোঃ রেজাউল (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্যও আহত হন। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের আহতরা হলেন ওবায়দুল হক, শওকত, রহিম বিন হোসাইন এবং মোহাম্মদ রায়হান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে কলেজ ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এরপর বাংলা বিভাগের সামনে থেকে পাল্টা মিছিল বের করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীরা। এক পর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। ছাত্রলীগের ইট-পাটকেলের মাঝখানে পড়ে পুলিশ সদস্য রেজাউল আহত হন।
চকবাজার থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ইটের আঘাতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। কলেজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগকারী মোস্তফা অভিযোগ করেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করা হলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
বিষয়টি অস্বীকার করে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, ওরা বহিরাগতদের নিয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে এসে সংঘর্ষ বাধাচ্ছে। তারা বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ বাধাতে গেলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। আমাদের কোন নেতা-কর্মীর সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়নি। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা চাই চাঁদাবাজির কোন ঘটনা ঘটে থাকলে পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ যাতে ব্যবস্থা নেয়। তবে ছাত্রলীগের কেউ চাঁদাবাজি করেছে এমন কোন অভিযোগ আমি পাইনি।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ। শিবির, অছাত্র, বহিরাগতদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে দাবি করে কমিটি বাতিলের জন্য আন্দোলন করে আসছে একটি বড় অংশ।
জয়নিউজ/কাউসার/ফরহান অভি/জুলফিকার