এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী জানুয়ারি মাসে প্রকাশ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও নীতিমালা অনুমোদন না করায় চলতি ডিসেম্বরে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। সব পরীক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ করিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফল তৈরি করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের গ্রেড মূল্যায়ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়।
চলতি মাসের শুরুতে তারা ফল তৈরিতে জিপিএ গ্রেড নির্ণয়ের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠান। তার ওপর ভিত্তি করে একটি নীতিমালা করে ফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেছেন, নীতিমালা অনুমোদন হলে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে এইচএসসি’র ফল তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থকে অনুমোদন পেলে পরবর্তী কাজ শুরু করা হবে।
টেকনিক্যাল কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জেএসসি পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি’র নম্বরের ৭৫ শতাংশ সমন্বয় করা হবে। তবে যারা জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তাদের ক্ষেত্রে এসএসসি’র ফলকে মূল্যায়ন করা হবে। বিষয়ভিত্তিক উন্নতির ক্ষেত্রে আগের ক্লাসের সেই বিষয়ের ফল মূল্যায়ন করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব তপন কুমার বলেন, ফল প্রকাশে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া প্রস্তাব আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেটি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অনুমোদন হলে আমরা কাজ শুরু করব।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা সম্ভব না হলে পরবর্তী মাসে তা হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সময় নির্ধারণ করবে, তার মধ্যে সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। যেহেতু খাতা মূল্যায়নের ব্যাপার নেই, তাই এক সপ্তাহের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফল প্রকাশ করা সম্ভব।