সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইয়াবা ব্যবসা ও ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল নিয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি দ্বীপের প্রত্যন্ত অঞ্চল তাবলেরচর গ্রামের বন বিভাগের বিট কার্যালয়ে প্রকাশ্যে ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হয়। যা এখন টক অফ দ্য কুতুবদিয়া।
এদিকে উপকূলীয় বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন কুতুবদিয়া উপজেলা রেঞ্জের অধিন তাবলেরচর বনবিট কার্যালয়ে প্রকাশ্যে ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হলেও এখন পর্যন্ত বন বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তাবলেরচর বন বিট অফিসের বন প্রহরী আতিকুর রহমান দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবা সেবন ও নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত। এলাকার লোকজন বাধা দিলে বন মামলায় আসামি করার হুমকি দেয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আলী আকবর ডেইল ইউপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ্ছাফা বিকম অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি আমি গত তিন মাস আগেই উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা কর্ণপাত করেনি।
স্থানীয় মেম্বার মাহামুদুল করিম মনু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বন প্রহরী আতিকুর রহমান ইয়াবা ব্যবসা ও স্বয়ং অফিসে মাদকের আসর বসিয়ে ইয়াবা সেবন করে যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। প্রতিবাদ করলে বন মামলা আসামি করার হুমকি দেয়।
সম্প্রতি কৈয়ারবিল ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম টিটু ও বন প্রহরী আতিকুর রহমান স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক মিলে ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হলে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় রুহুল কাদের বলেন, তাবলেরচর বনবিট অফিসের অধিনে ঝাউবাগান, বাইন গাছ প্রতিনিয়তই প্রকাশ্যে জ্বালানির কাজে কাঠ হিসেবে বিক্রি করে এবং বিট অফিসের জায়গা লিজ দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ঐ টাকায় ইয়াবা ব্যবসা ও সেবন করেন তারা।
কুতুবদিয়া উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানান, বন প্রহরী আতিকুর রহমান কর্মস্থলে ইয়াবা কারবার ও ইয়াবা সেবনের বিষয়ে শুনেছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে তাবলেরচর বন বিভাগের বিট অফিসে গেলে অভিযুক্ত বন প্রহরী আতিকুর রহমানকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। অফিস তালাবদ্ধ ছিল। ঘটনার ব্যাপারে জানতে বন প্রহরী আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।