ইংরেজী নববর্ষের শুরুতে বাজারে গত সপ্তাহের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে সবজি, মাছ ও মাছের দাম। তবে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও খুচরা বাজারে দামের তেমন হেরফের হয়নি। ভোজ্যতেল সয়াবিনের দামও আগের মতোই উর্ধমুখী। এছাড়া কয়েক ধরনের চালের দামও সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এনিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাদের শঙ্কা বাজারে যেকোনো সময় ফের বৃদ্ধি পেতে পারে এসব পণ্যের দাম।
শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার কাঁচাবাজার, কাজীর দেউড়ি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বাজারে শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি ২০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ৪৫, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের মধ্যে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, সোনালী মুরগি ২২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে খাসির মাংস ৮০০ টাকা, গরুর মাংস ৫২০ থেকে ৬০০ টাকা।
এদিকে মাছের বাজারে প্রতিকেজি তেলাপিয়া ১৫০, কাতাল ২৩০ টাকা, রুই ২০০ টাকা, রূপচাঁদা ৬০০ টাকা, লইট্যা ১০০ টাকা, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২, পাইজাম ৪৫ থেকে ৫৬ টাকায়, মোটা চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়, চিকন চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি পেঁয়াজ ধরনভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, রসুন ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়, আদা ৮০ থেকে ১৪০ টাকায়, তেজপাতা ১০০ থেকে ১৮০ টাকায়, হলুদ ১৪০ থেকে ২০০ টাকায়, জিরা ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৩৫০ থেকে ৪৮০ টাকা।
এদিকে প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা, চিনি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ভোজ্যতেল সয়াবিন লিটারে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
এছাড়া ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা।
জয়নিউজ/পিডি