চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি তদারকিতে ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪ জন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর থেকে চসিক নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৮ জন সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা চসিক নির্বাচনি মাঠে থাকবেন। কোন কর্মকর্তা কোন এলাকায় কাজ করবেন, সেটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে তারা নির্বাচন অফিসের দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চসিকের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীসহ ২৩৭ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে (পুরুষ) ১৭৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এই সিটি নির্বাচনে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪ জন সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। ইভিএমের মাধ্যমেই এই নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
৪১টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি স্থায়ী ও দুটি অস্থায়ী। বুথ সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোট কক্ষ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৭ জানুয়ারিতে হতে যাওয়া এই নির্বাচন গত ২০২০ সালের ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ আবারও গত ১৪ ডিসেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিত হওয়া নির্বাচনে ভোট নেওয়ার নতুন তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।