৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে প্রমিত বাংলার চর্চা ও আবৃত্তি শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালের ৯ জানুয়ারি গঠিত হয় সংগঠনটি।
‘আমাদের মুক্তি আমাদের যুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে’ শিরোনামে শনিবার বিকেল ৪টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের মূল মিলনায়তনে বোধনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কথামালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রামের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, ইস্পাহানী গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান এবং বোধনের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাড. বিশ্বজিৎ দাশ ভুলু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বোধনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সুজিত রায়, লায়ন জাহাঙ্গীর মিয়া, অ্যাড. নারায়ণ প্রসাদ বিশ্বাস, পিযুষ কান্তি বিশ্বাস, প্রবাল দে ও ড. কুন্তল বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বোধন সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ।
এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বোধনের স্লোগানের সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। আলোচনা সভার একপর্যায়ে বোধনের পক্ষ থেকে অতিথিদের স্মারক ও পুষ্পস্তবক দেওয়া হয়।
এদিকে বোধনের ৩৪ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা জানায় বন্ধু সংগঠন তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, বাচিক শিল্প চর্চা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ, কবি নজরুল একাডেমি চট্টগ্রাম, অঙ্গন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, স্বপ্নযাত্রী, একুশ মানবিকতা ও আবৃত্তি চর্চাকেন্দ্র, সাহিত্য সংগঠন রুদ্র।
বোধন সদস্যদের অংশগ্রহণে উৎপল কান্তি বড়ুয়ার রচনা ও মাইনুল আজম চৌধুরীর নির্দেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি ‘শোনো মুজিবুর’ এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে মিসবাহ উদ্দিন ইনান ও জাইমা জাহিন ওয়ারাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের আহ্বায়ক কমিটিতে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিতদের পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। এতে বক্তব্য দেন আবৃত্তিশিল্পী ফারুক তাহের।
আমন্ত্রিত কবিদের মধ্যে কবিতা পাঠ করেন আশীষ সেন, হোসাইন কবির, জিন্নাহ চৌধরী, উৎপল কান্তি বড়ুয়া ও রিফাত ফাতিমা তানসি।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীদের মধ্যে একক আবৃত্তি করেন শাহেদুল ইসলাম, বনকুসুম বড়ুয়া, সুপ্রিয়া চৌধুরী, সানজিদা রশিদ তামান্না, বোরহান উদ্দীন রাব্বানী, অনন্যা চৌধুরী, শামীম ইয়াসমিন, ইন্দ্রা দাশ, ভান্ডারী আরিফ, স্নিগ্ধা বড়ুয়া ও টুটুল দেবনাথ। দ্বৈত আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী এ এফ ফাহিম ও শারমিন সুলতানা, বর্ষা চৌধুরী, অনন্যা দাশ, প্রবীর পাল, রাজিউর রহমান বিতান, সুছন্দা ঘোষ, তৈয়বা জহির আরশি, তারমিন পুস্পা ও সেতার রুদ্র।
সংগীত পরিবেশন করেন মিতালী রায়, মেঘা সেন, দেবলীনা চৌধুরী ও আরিফা সিদ্দিকা। সঞ্চালনায় ছিলেন বোধনের সাধারণ সম্পাদক প্রণব চৌধুরী, পিউ সরকার, অসীম দাশ, সুতপা মজুমদার ও মাইনুল আজম চৌধুরী।
নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তীর পরিচালনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ওডিসি এন্ড ট্যাগুর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রাম।
বোধনের শিশু বিভাগের অংশগ্রহণে লুৎফর রহমান রিটনের রচনা বৃন্দ পরিবেশনা ‘আজকে ছুটির দিন’র মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের পর্দা নামে।