বোয়ালখালীতে এনজিও’র নামে প্রতারণা করার সময় নারীসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সজল দাশগুপ্ত (৪৫) ও মুক্তা চৌধুরী (৩০) দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের এলিন নামক একটি এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে উপজেলার পোপদিয়া, খরন্দ্বীপ ও আমুচিয়া ইউনিয়ন এলাকায় ৫ শতাধিক লোকজনকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে ৫শ’ টাকা করে ভর্তি ফিঃ হাতিয়ে নেয়। কিছুদিন যাওয়ার পর প্রত্যেক সদস্যদের ৩ লাখ টাকা (৩ বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য) মূল্যের একটি করে সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আরো ৩ হাজার টাকা করে জমা নিতে থাকে। পরবর্তীতে গ্রাহকরা তাদের কাছ টাকা জমার বৈধ কাগজপত্র চাইলে তারা বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।
বিষয়টি গ্রাহকরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানান। এরপর ১৩ জানয়ারি সন্ধ্যায় আমুচিয়া ইউনিয়নের উদয়ন সংঘের সামনে কিছু গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আনতে গেলে গ্রাহকরা সজল ও মুক্তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাদ করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে প্রতারণার স্বীকার স্থানীয় মৃত গোপাল নন্দ ঘোষের স্ত্রী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনসচার্জ (ওসি) মো. আবদুল করিম জানান, আটককৃত সজল দাশগুপ্ত ও মুক্তা চৌধুরীর কাছে এনজিও’র কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোনো কাগজ দেখাতে না পারায় তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক সজল দাশগুপ্ত উপজেলার সরোয়াতলীর ইউনিয়নের মৃত সমর দাশগুপ্ত’র ছেলে ও মুক্তা চৌধুরী একই ইউনিয়নের লিটন চৌধুরীর স্ত্রী।