আর্তমানবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টার ও সৌদি দূতাবাস। বাংলাদেশের জনগণ ও আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ ৩০ হাজার হতদরিদ্র পরিবারকে সহায়তা করতে তারা নিয়েছে ‘খাদ্যসামগ্রী বিতরণ’ প্রোগ্রাম।
এ প্রোগ্রামের আওতায় বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ৫৫০ হতদরিদ্র পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের এ মানবিক উপহার কার্যক্রমের প্রশংসা করে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও সৌদিআরবের ঐতিহাসিক এ বন্ধুসুলভ আচরণ ও পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপহারসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সৌদিআরব দূতাবাসের ফাইন্যান্স-কালচার অ্যান্ড রিলিজিয়ন বিষয়ক প্রধান আহাম্মদ হাসান হামদী, কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টার, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুর্কি সায়িদ আল গামেদী, আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন জমির উদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, জয়নিউজ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর, ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, এরফান আলী ভূঁইয়া, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহাব উদ্দীন, নাজিম উদ্দীন দুলু ও মেসবাহ উদ্দীন।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রকল্পের আওতায় মুন্সিগঞ্জে ৫০০, সৈয়দপুরে ৪৫০, যশোরে ৪০০, গাজীপুরে ৩৫০, নওগাঁ ৫০০, ত্রিশালে ৩৫০, ভৈরব ৩০০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০০, ফরিদপুরে ৪০০, কুমিল্লায় ২০০, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ২৫০, হাটহাজারীতে ৪০০, জামালখানে ৫০০, সাতকানিয়ায় ১ হাজার ৫০০, ফটিকছড়িতে ১ হাজার এবং রাউজান ও কাউখালী গোদারপাড় এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।