লাল-সবুজের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটারদের একজন তিনি। চোটজর্জর শরীরেও দেশের জন্য খেলে চলেছেন সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে। শুধু নিজে নন, পুরো দলকে উজ্জীবিত করার গুরুভার থাকে এই লড়াকু সেনাপতির কাঁধে। তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলার ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক!
নন্দিত এই ক্রিকেটার শুক্রবার (৫ অক্টোবর) কাটলেন ৩৫তম জন্মদিনের কেক। শুভ জন্মদিন মাশরাফি। টাইগারদের রঙিন পোশাকের দুর্দান্ত এই নায়ককে জয়নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।
১৯৮৩ সালের এই দিনে (৫ অক্টোবর) চিত্রা নদীর পাড়ের শহর নড়াইলে জন্ম মাশরাফির। সেই শৈশবে প্রিয় খেলা ছিল সাঁতার, ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন। এরপর ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা। নানার হাত ধরে শুরু ক্রিকেটে হাতেখড়ি। অনূর্ধ্ব-১৯ দল দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে যাত্রা শুরু। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁর।
২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক মাশরাফির। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ৩৬ টেস্টে ৭৯৭ রান ও ৭৮ উইকেট এবং ১৯৬ ওয়ানডেতে ১৭২০ রান ও বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ২৫১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
অধিনায়ক হিসেবেও বেশ সফল তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলেছে ১টি টেস্ট। জিতেছে সেই একটিতেই। আবার ৬৪টি ওয়ানডেতে জয় ৩৫টিতে। ২৮টি টি-টুয়েন্টিতে জয় ১০টিতে। দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তাই তিনিই।
একের পর এক ইনজুরিতে পড়লেও মানসিক শক্তি দিয়ে ফিরে এসেছেন বারবার। ৭ বার অস্ত্রোপচারের পরও খেলে যাচ্ছেন তিনি। তাইতো হয়ে উঠেছেন বাংলার মানুষদের কাছে সত্যিকারের নায়ক।
আজকের দিনটি বিশেষভাবে স্মরণীয় একটি দিন ম্যাশের। ২০১৪ সালের এইদিনে জন্ম নিয়েছিল তার ছেলে সাহেল মর্তুজা। বাবা-ছেলের একই দিনে জন্ম!
সুস্থ্ থাকুন মাশরাফি আর আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করে দেখাক, এই শুভকামনা আজ দেশের প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের।
ভালো থাকুন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক!