নোয়াখালীর হাতিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করতে না পেরে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ফারুক বাহিনীসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ২ নম্বর চানন্দী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পরে (৫ জানুয়ারি) ওই গৃহবধূ স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনীর বিরুদ্ধে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে ওই ট্রাইবুনালের বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (এএসপি) সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মিরাজ উদ্দিন জুয়েল।
মামলার এজাহারে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, গত ১ জানুয়ারি তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনীর অন্যান্য লোকজন ঘরে ঢুকে তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা করেন’। তাতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালান এবং মোবাইল ফোনে সেই ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তিনি ও তার ছেলে-মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান।
পরে ওই গৃহবধূর স্বামী এসে উদ্ধার করে তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে দু’দিন চিকিৎসা নিয়ে ৪ জানুয়ারি থানায় মামলা করতে যান ওই নারী। পুলিশ মামলা না নিলে পরের দিন আদালতে মামলা করেন তিনি।
এদিকে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর গতকাল শনিবার তিনি ঘটনাস্থলে যান। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ওই গৃবধূকে নির্যাতনের ঘটনাটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে টেনে-হিঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে ফেলে দরজা বন্ধ করে দেন। অপর একজন লাঠি দিয়ে ওই নারীর ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করছেন।
এর আগে জেলার বেগমগঞ্জে অপর এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছিল।