সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচালিত ক্যাসিনো ও সন্ত্রাসবিরোধী ‘শুদ্ধি অভিযানে’ গ্রেফতার নুর মোস্তফা টিনু কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টিনুর স্ত্রী শাহনাজ আক্তার। তিনি বলেন, সব মামলায় জামিন পেয়ে নুর মোস্তফা টিনু আজ (সোমবার) বিকেলে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তিনি চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবর জিয়ারত করতে বের হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টায় নগরের কাপাসগোলা এলাকা থেকে টিনুকে একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে র্যাব। পরে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে একটি শটগান ও ৬৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরদিন অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে টিনুকে পাঁচলাইশ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর টিনুকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২০০৩ সালে অত্যাধুনিক একে-২২ অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসেন টিনু। সেই মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগও করেছিলেন তিনি।
কারাগারে থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেন চকবাজার এলাকার আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ নুর মোস্তফা টিনু। আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে টিনু প্রার্থী হন। কারাগারে আটক থাকা নুর মোস্তফা টিনুর পক্ষে তার স্ত্রী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন নুর মোস্তফা টিনুর স্ত্রী মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নুর মোস্তফা টিনু মিষ্টি কুমড়া প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। নুর মোস্তফা টিনু ছাড়াও ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীক নিয়ে সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে একেএম সালাউদ্দীন কাউসার লাভু ও রেডিও প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।