স্বাধীনতার ৪৯ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে মন্তব্য করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেছেন, এ দেশের উন্নতি এখন বিশ্বের কাছে উদাহরণ।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করায় স্বল্প উন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নতির পেছনে মূল চালিকাশক্তি তার পরিশ্রমী জনগণ। বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে ভারতবাসী আনন্দিত। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে ভারত সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ ১৯৭১ সাল থেকে একসঙ্গে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। দুই দেশের অর্থনীতি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকে আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো।
ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথমে। প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে।— যোগ করেন চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।
চট্টগ্রামে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ভারতের নানা সহায়তার কথা উল্লেখ করে স্মতিচারণ করেন।
মোশাররফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহায়তা না করলে আমরা এতো দ্রুত স্বাধীনতা পেতাম না। তাই ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধন রক্তের বন্ধন। ভারতের সঙ্গে আমাদের এই বন্ধুত্ব আজীবন থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের যেকোনো প্রয়োজনে ভারত পাশে থেকেছে। আন্তর্জাজিক নানান বিষয়ে ভারতের কূটনৈতিক সমর্থন পেয়েছি আমরা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমদ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, খদিজাতুল আনোয়ার সনি। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন প্রমা-অবন্তীর সদস্যরা। কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান।