সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন শেষ হয়েছে সংঘর্ষ ও খুনে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছে ভাই। নগরের কয়েকটি ওয়ার্ডে ঘটেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও অসন্তুষ্ট বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত। তাই ভোটগ্রহণ শেষ হলেও বিএনপির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হচ্ছে তা নিয়ে রয়েছে কৌতুহল।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে নগরের প্রায় সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। লালখান বাজার, পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার ও পাহাড়তলীতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাহাড়তলীর দুটি ওয়ার্ডে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার মতো ঘটনাও রয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করেছেন। ফলাফল যাই হোক না কেন তিনি মেনে নেবেন বলে ইতোমধ্যে ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন।
অপরদিকে ঠিক বিপরীত অবস্থানে আছেন বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। নগরের সব কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তবে এ সময় তিনি ভোটের শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে ঘোষণা দেন।
দুপুর ৩টার দিকে ডা. শাহাদাত নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্নিং অফিসার হাসানুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় তাঁর সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় শাহাদাত কী ঘোষণা দেন তা নিয়ে জনমনে কৌতুহল রয়েছে।
জয়নিউজ