মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টকে আটকের ঘটনায় দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের পরিস্থিতির বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা জানান। প্রেস নোটের মাধ্যমে পরে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো তথা অনানুষ্ঠানিক প্রধান অং সান সু চি ও রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীর হাতে আটকের ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। কার্যত সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়া ও দেশটিতে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারির ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এ উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আজ সোমবার নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সু চি ও মিন্টকে গ্রেপ্তার করে দেশটির ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
গত বছর ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বড় জয় পায়। কিন্তু সেনা সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। দাবি মানা না হলে সেনাবাহিনী ফের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হযেছিল।
জয়নিউজ/পিডি