চট্টগ্রাম নগর ও উপজেলায় আগামী রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে করোনার টিকাদান শুরু হচ্ছে। নগরে টিকাদানের জন্য ১৫টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হলেও প্রথমে দেওয়া হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। এ জন্য চমেক হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ৪টি বুথ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, করোনার টিকা দেওয়ার জন্য থাকছে ১০টি টিম। পুরুষদের জন্য দুটি এবং মহিলাদের জন্য আলাদা দুটি বুথে টিকা দেওয়া হবে। টিকা গ্রহণকারীকে আধাঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনো জটিলতা দেখা দিলে মেডিকেল টিম তাৎক্ষণিক দেখভাল করবে।
জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে একশ জনকে প্রথম দিন টিকা দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ অন্যান্যদের এ টিকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ করোনার টিকা পেল চট্টগ্রাম
পরবর্তীতে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, সিএমএইচ, চট্টগ্রাম নৌবাহিনী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিমান বাহিনী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, সাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বন্দরটিলা মাতৃসদন টিকাকেন্দ্রেও করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে চসিক স্বাস্থ্য বিভাগ। কেন্দ্রগুলোতে টিকাদানে নিয়োজিত থাকবেন আড়াই শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ২টি (দুজন টিকাদানকারী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক) টিম টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের জন্য ৩৮ কার্টন টিকা ও অতিরিক্ত আরো ৪ কার্টনসহ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪২ কার্টন। এসব কার্টনে ৫০ হাজার ৪০০ ভায়াল হিসেবে মোট ৫ লাখ ৪ হাজার ডোজ টিকা রয়েছে।
প্রথম দফায় বরাদ্দের ৩৮ কার্টন (৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ) টিকা পাঠানো হয়েছে। এসব টিকা রাখা হয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে। এই স্টোরে ১ লাখ ডোজ টিকা সংরক্ষণের ধারণক্ষমতা রয়েছে।