বসন্তের প্রথম দিন ৫৫টি পৌরসভায় চলছে ভোটগ্রহণ। রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এধাপের নির্বাচনে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া পৌরসভাও রয়েছে। যার মধ্যে পটিয়ায় ইভিএমে ও অন্য দুইটিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
যেসব পৌরসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে তার মধ্যে ২৯টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং ২৬টিতে ব্যালট পেপারে ভোট হবে। এ ধাপে ফেনীর পরশুরামে মেয়র ও কাউন্সিলর পদগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার কারণে সেখানে সবাই বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। আর মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এ পৌরসভায় ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলের একজন শীর্ষ নেতার কাছে তুলে আনার অভিযোগ ওঠে। আর হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত করা হয়েছে নাটোর পৌরসভার নির্বাচন। পরে এ ধাপে যুক্ত হয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি পৌরসভা।
চতুর্থ ধাপে ৩৪ জেলার এসব পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বেও কোথাও কোথাও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে ভোটগ্রহণ চলাকালে সহিংসতা ও অনিয়মের আশঙ্কা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।
অবশ্য নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। এ জন্য যা যা করার তা-ই করতে হবে। ৫৫টি পৌরসভার ৭৯৩টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৩০৯ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরের এলাকায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং টিমও রয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি