জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিধবা নারীর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পলাতক থাকা কথিত বিসিএস ক্যাডার ও সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতার মো. মোজাম্মেল হক (৪৩) কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ৩নং ওয়ার্ডের হক সাহেবের বাড়ির হাজী আব্দুল হকের সন্তান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি মর্জিনা নামের এক বিধবা নারীর সন্তানকে সরকারি মুসলিম হাই স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য জেলা প্রশাসকের সুপারিশ ও স্বাক্ষর নিয়ে দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন জামাল উদ্দিন। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মর্জিনা তাকে ১০ হাজার টাকা দেয়। ওই নারীর সরলতার সুযোগ নিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন জামাল। এ ঘটনায় মোজাম্মেল হক ভুয়া বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয়ে জামালের যোগসাজশে এ প্রতারণা করেন।
পরবর্তীতে মোজাম্মেল হক ওই নারীর কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক জামালকে আটক করে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই সময় মোজাম্মেল হক পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের স্বক্ষর জালিয়াতি করে পলাতক আসামি ভুয়া বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল (রোববার) রাত সাড়ে ৮টায় তাকে বর্তমান ঠিকানা সদরঘাটের পূর্ব মাদারবাড়ী কামাল গেট এলাকার মমতাজ ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তার ভিজিটিং র্কাড পাওয়া গেছে। গ্রেফতারের পর আসামি মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, মর্জিনা আক্তার একজন বিধবা নারী। তার স্বামী গত ৮ মাস আগে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সরলতার সুযোগ বুঝে আসামি তার সাথে এমন প্রতারণা করেন।